Wednesday, July 13, 2016

ধন্যবাদ !

১৩ জুলাই, ২০১৬
=============

নাহ!! এখন আর নিজেকে বাংলাদেশি বলতে গর্ববোধ হয় না, বরং লজ্জাই হয়। ধন্যবাদ বাংলাদেশের রাজনীতি, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ সাবেক বিরোধীদল (বিএনপি), ধন্যবাদ বাংলাদেশের মিডিয়া, ধন্যবাদ বাংলাদেশের পুলিশ, ধন্যবাদ জঙ্গি সমাজ। আরও অনেককেই ধন্যবাদ আমার গর্বকে লজ্জায় পরিণত করার জন্য, ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করার জন্য। ধন্যবাদ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে শান্তির দেশকে সবচেয়ে কুৎসিত আর অশান্তির দেশে পরিণত করার জন্য। ধন্যবাদ !

Sunday, January 17, 2016

দুই মৃত্যু

বেঁচে থাকাটা কিন্তু দুই ভাবে হতে পারে। প্রথম, সিদ্ধ সাধারণ জীবন। জীবনে অনেক চাওয়া আবার অনেক না পাওয়ার হিসেব। অনেকেই বলে "যা চাই তা পাই না, যা পাই তা ভুল করে চাই"। এখানে ডিমান্ড আর সাপ্লাইয়ের মাঝে একটা অসামঞ্জস্যতা আছে। ইচ্ছে আর শখের প্রাচুর্য এখানে, কিন্তু সময়, সামর্থ্য আর সাহসের অভাবে এর সিংহভাগটাই অপূর্ণ থেকে যায়। অনেকগুলা আবার অপূর্ণ থেকে যায় নানারাকম সাতপাঁচ ভেবে। সাহস করে কিছু পেতে গেলে আবার হারিয়ে যায় অনেক কিছু। মনটাই তখন মনে মনে বলে "ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়না রে"। এই বেঁচে থাকার মৃত্যুটা আবার অনেক মশলাদার। মৃত্যু এখানে অপ্রত্যাশিত, অনাকাঙ্খিত, আতঙ্কের আর ভয়ের। সেই মৃত্যুশয্যায় একই ডিমান্ড সাপ্লাই সমস্যা। শেষ মুহূর্তে মনে রাখা লাগে সৃষ্টিকর্তাকে কি কি অভিযোগ করবো "হে প্রভু আমি চেয়েছিলাম, তুমি তো দিলে না"। দোষ অন্যের কাঁধে চাপানোর সর্বশেষ প্রয়াস। ইচ্ছের তৃষ্ণা নিয়ে একসময় বিদায় নেয় প্রান ভোমরা।

দ্বিতীয়, এটাও সাধারণ জীবন। পার্থক্যটা শুধু, এখানে ডিমান্ড আর সাপ্লাই এর ব্যাপারটা নেই। মিশন এখানে "শখের তোলা ষোল আনা"। যতক্ষণ বা যতটুকু সম্ভব নিজের কোন ইচ্ছা এখানে অপূর্ণ থাকবে না। এখানে মন বলে "জীবন তো একটাই, তাও আবার এতো সংক্ষিপ্ত। সাতপাঁচ ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নেই"। এখানে ইচ্ছে বাস্তবায়ন হবে, বিনিময়ে হারিয়ে যাবে অনেক কিছু। অভিযোগের কোন অবাকাশ এখানে নেই। একটা সময় পর হয়তো সব আশা, চাওয়া পাওয়া পূরণ হয়ে যায়। হারিয়েও যায় অনেক অনেক কিছু। জীবনের গল্পের বইটা তখন কিছু সাদা পৃষ্ঠা রেখেই লেখার দাড়ি টানে। মৃত্যু এখানে সর্বদা সাদরে আমন্ত্রিত। কিন্তু তার আসতে দেরি করাটা কষ্টের। যখন কিছু পাওয়ার বা হারানোর থাকে না তখন প্রতিটা সকাল খুব বিষাক্ত লাগে। মনে হয় "আবার কেন ঘুম থেকে উঠলাম, আর কি করবো? আর বেঁচে থেকে তো লাভ নেই"। অস্বস্তিকর কাউন্টডাউন একসময় শেষ হয়। আসে তৃপ্তির এক দীর্ঘ শেষ নিঃশ্বাস। 

এখানে কোন বেঁচে থাকাটা যুক্তিযুক্ত তা এখন অনিশ্চিত, অনেক কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ দুটোতেই। বেছে নেওয়া একান্তই নিজের।

Wednesday, November 25, 2015

পঙ্গু

নভেম্বর, ২০১৫
============

অনিশ্চয় জীবনের ভীতিকর সমীকরণ
উত্তম স্বীকার আসন্ন ধ্রুবক মরন
লাভ নেই দুষে অগোছালো হস্তরেখার
হস্ত বিনা পঙ্গু তুমি দুর্ভাগ্য তোমার

Wednesday, November 18, 2015

লবণাক্ত অশ্রু

নভেম্বর, ২০১৫
============

বলপয়েন্টে ক্ষতবিক্ষত চিরকুট
স্পর্শকাতর কাগজে দোয়াতের রক্ত
শেষ লাইনের অস্পষ্টতা
হয়তো ফ্যাকাশে অশ্রুর

Friday, November 6, 2015

ক্লাসলেস

নভেম্বর, ২০১৫
============

কেউ দেখি না খেয়ে বড়লোক হয়ে যায় আবার কেউ ভরপেট খেয়ে ছোটলোক। এতো ক্লাস পার হয়েও এখন আবার পড়ে থাকতে হয় ক্লাসলেস এর ক্লাসে। অসভ্যতার উৎপত্তি যেখানে অতি ভক্তি। মুখোশের মাঝে নানা রং। রঙচটা অনেক ছাপ।

Saturday, October 31, 2015

মানুষ

অক্টোবর, ২০১৫
============

মানুষ এক চমৎকার যন্ত্র। এর দেহে কিছু অদৃশ্য সুইচ আর দেহের অনাবিষ্কৃত অঙ্গে একটি অবাস্তব ব্যাটারি বিদ্যমান। সাথে আবার কোন ইউজার ম্যানুয়ালও দেয়া হয় না। সঠিক সময়ে সঠিক সুইচ অন করা ছেলের হাতের মোয়া নয়। আর যদি ভুল সুইচে একবার চাপ পড়ে যায় তবে তা এক গুরুচন্ডাল দোষ। ভুল করে যদি এই ভুল দুবার হয় নির্ঘাত দেখা মিলবে দুমুখো সর্পের।

Wednesday, October 21, 2015

চন্দ্রবিন্দু

অক্টোবর, ২০১৫
============

হাওয়ার ঝাপটা ধুলি ঝড়ে অবশ ক্লান্ত শরীর
ঢেকে গেছে মস্তিস্ক পাটে তোমার আবছা ছবি

হয়তো শেষে বলবে তুমি খুঁজে দেখনি আমায়
আমি তখন বলতেই পারি অন্ধ ছিলাম আমি

সুত্র গুলো উল্টো করে ভুল অঙ্ক কষি
তাই এখন চাঁদের ভেতর চন্দ্রবিন্দু খুঁজি